আলিফ আরিফা হক, গাজীপুর থেকেঃ“মা ও শিশুর জীবন বাচাঁতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হবে যেতে” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ২৮শে মে শনিবার সকালে গাজীপুর সিটির ৩০ নং ওয়ার্ডের হালিমা ফাইজউদ্দিন নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আরবান হেলথ কেয়ার আয়োজনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নিরাপদ মার্তৃত্ব দিবস উপলক্ষে গর্ভবতী মায়েদের নিয়ে আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা, নিয়ে আলোচনা করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ৩০ জন গর্ভবতী মা’কে বিনামুল্যে গর্ভকালীন চেকাপ গ্রহন করেন।
গর্ভকলীন সময়ের পরিচর্চ্চা সর্ম্পকে সচেতন হন। কেয়ার বাংলাদেশ মাধ্যমে গর্বকলীন সময়ে সঞ্চয় গ্রহন করার জন্য প্রত্যেককে ১টি করে সঞ্চয়ী ব্যাংক ও পুষ্টি পেট এবং কুইজ প্রতিযোতিার মাধ্যমে মায়েদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি পুষ্টি সর্ম্পকে সচেনতা করার জন্য বাস্তব ভিত্তিক উপস্থাপনা করা যেমন শাকসব্জী সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করা হয়।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও আরবান হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ প্রোগ্রাম অফিসার দিলারা তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, হালিমা ফাইজ উদ্দিন নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মুসমুন বিশ্বাস, তথ্য বহুল বক্তব্য রাখে কেয়ার বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কো-অডিনেটর মুনিষা মাফরুহা, গাজীপুর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মো: কামাল হোসেন বাবুল, ওয়ার্ড সচিব সন্দীপ কুমার চন্দ্র দাস, এনজিও প্রতিনিধি মোসা: আসমা খাতুন, সদস্য শাহনাজ আক্তার কল্পনা, সদস্য সায়মা আক্তার এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সুপার ভাইজার সামসুল কবির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডা: মুনমুন বিশ্বাস বলেন, একজন মা গর্ভাবস্থা, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী ৪২ দিনের মধ্যে মারা গেলে ওই ঘটনাকে ‘মাতৃমৃত্যু’ হিসেবে গণ্য করা হয়। ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করে আসছে বাংলাদেশ। গত বছর মহামারি করোনার কারণে দিবসটি সীমিত আকারে পালন করা হলেও এবার নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে।
এ বছর মাতৃত্ব দিবসের প্রতিপাদ্য‘মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হবে যেতে’। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ হাজার নারী গর্ভধারণ ও গর্ভধারণ সংক্রান্ত কারণে মারা যান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শিশু জন্ম দিতে গিয়ে ২০২০ সালে ৮৮৪ জন নারী মারা গেছেন এবং ২০২১ সালে তা কমে ৭৮৮ জনে নেমে এসেছে।
২০১০ সালে প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু ছিল ১৯৪ জন। গত এক দশকে তা কমে ১৬৫ জনে নেমে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, গর্ভধারণ সংক্রান্ত কারণে বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ নারী মারা যান। পাশাপাশি প্রায় সাত মিলিয়ন নারী প্রসব পরবর্তীতে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন।
এছাড়া আরও ৫০ মিলিয়ন নারী প্রসবের পর নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগেন।