মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসির নগর থেকেঃ সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বুড়িশ্বর গ্রামের মৃত ফালান মিয়ার ছেলে মোঃ রহমত আলী হত্যা মামলার দীর্ঘ ৯ মাস পর ২৪ আসামীর মাঝে এজহার নামীয় ২২ আসামীকে মামলা থেকে বাদ দিয়ে এজাহারের বাহিরে শুধু ৪ জনকে আসামী করে তাদের নামে ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ আদালতে চার্জশীট প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ(ডিবি)।২রা মার্চ ওই চার্জশীটের বিরোদ্ধে আদালতে আপত্তি জানিয়ে নারাজি দিয়েছে হত্যা মামলার বাদি। আদালত বাদির নারাজি আমলে নিয়ে আগামী ২০ মার্চ শুনানির দিন ধার্জ করেছে বলে জানিয়েছেন বাদী ।
মামলা সুত্রে জানা গেছে ২০২১ সালের ২০ মে রোজ বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ১১ ঘটিকার সময় বুড়িশ্বর চাঁনপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আলমগীর চৌধুরীর বাড়ির পূর্ব পাশের বিছরা রাতের অন্ধকারে রহমত আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয় খুন করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্বরা।পরদিন রহমত আলীর ছোট ভাই মোঃ মহব্বত আলী বাদি হয়ে গ্রামের মৃত সিরাজ চৌধুরীর ছেলে এডঃ মোঃ আলী আজম চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে ২২ জনের নামে নাসিরনগর থানার হত্যা মামলা নং ২৩ দায়ের করে।পরবর্তীতে ৮ জুন আদালতের এক পিটিশনের মাধ্যমে আলমগীর চৌধুরী ও আমরুল চৌধুরীকে আসামী করা হয়।
পরে মামলাটি থানা থেকে চলে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশের অপরাধ দতন্ত বিভাগ ডিবির হাতে।
দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস ১৯ দিন তদন্ত শেষে ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে ডিবির পুলিশ পরিদর্শক আনিছ আহমেদ ভূইয়া হত্যা মামলা থেকে এজাহার নামীয় ২২ আসামীকে অব্যাহতি দিয়ে এজাহারের বাহিরে শুধু ৪ জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট প্রেরণ করে।ডিবির দেয়া চার্জশীট দেখে ক্ষুদ্ব বাদি,রহমত আলীর পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী।বাদি রহমত আলী জানায়,দীর্ঘ ৯ মাসেও ওই ২২ আসামীর কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি ডিবি। এজাহার নামীয় ২২ আসামীর নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ পরিদর্শক আনিছ আহমেদ ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তদন্তে তাদের কাউকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কোন প্রমান না পাওয়ায় বাদ দেয়া হয়েছে।