“লক্ষীপুরায় বেপরোয়া কিশোর গ্যাং,আতঙ্কে এলাকাবাসী “

0
83

বরগুনা ( বরিশাল) প্রতিনিধিঃ বরগুনা বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন এর লক্ষীপুরা গ্রামে কিশোর গ্যাং চক্র। তাদের তৎপরতায় অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হলেও ভয়ে অনেকে প্রতিবাদ করতে সাহস করেন না। কারণ এই কিশোর গ্যাংয়ের অনেক সদস্য প্রভাবশালীদের বখে যাওয়া কিশোর ছেলে।

এলাকাবাসীর মতে, লক্ষীপুরায় অপরাধ জগতের নতুন আতঙ্ক ‘কিশোর গ্যাং’ অনেকটাই সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। অপ্রতিরোধ্য তারা, পাড়া-মহল্লায় দল বেঁধে অবাধে চলাফেরা করে। ধর্ষণ, হাঙ্গামা, দোকানে ফাও খাওয়া, মাদক সেবন, যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা করে না। বয়স দেখলে বুঝার কোনও উপায় নেই যে, এদের সংঘটিত অপরাধ কী ভয়ঙ্কর হতে পারে।

এরা অনেকটা যেকোনো তুচ্ছ ঘটনায় চড়াও হচ্ছে যে কারো ওপর। অনেকের কাছে এরা এখন মূর্তিমান আতঙ্ক। এদের শাসন করতে গিয়ে এলাকার সম্মানিত মানুষও লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। পুলিশের খাতায় তালিকা না থাকায় কিংবা বয়সে কম হওয়ায় এরা গ্রেফতারের বাইরে থেকে যাচ্ছে। লক্ষ্মীপুরা টেকের হাট এবং তেলিবাড়ানি বাজার আশপাশ এলাকায় রয়েছে এদের অবাধ বিচরণ।

এসকল এলাকার ভয়ঙ্কর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হলো-
লক্ষীপুরা গ্রামের ফজলু খানের ছেলে মোঃ তারিফুল ইসলাম (১৭),নিজাম হোসেনের ছেলে স্বজল (১৫), নয়ন হোসেনের ছেলে মোঃলাবু হোসেন(১৬),মিজানুর রহমানের ছেলে মাইনুল (১৬),এবং অলি হাওলাদারের ছেলে মামুন (১৫)।

সূত্রে জানা যায়, এসকল মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাংয়ের যন্ত্রণায় স্কুল-মাদ্রাসার মেয়েরা ঠিক মত ক্লাস করতে পারেনা অভিযোগ রয়েছে, তাদের অপকর্ম চলমান থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন।

লক্ষীপুরা এলাকার বাসিন্দা মোঃ ফিরোজ দফাদার বলেন আমার ছেলে ফয়সাল (৮) ও আমার ভাতিজা এলিন( ৯) গত বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে ফেরার পথে বখাটেদের সামনে পরে তারা নেশাগ্রস্ত থাকায় আমার ছেলে এবং ভাতিজার স্কুল ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং বেধড়ক মারধর করে।আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমে আরো বড় ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হতে পারে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিশোর গ্যাংগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা জরুরি।

এ ব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ বশির বলেন, ‘কিশোর গ্যাং’ বলতে কিছু নেই, তবে ‘কিশোর অপরাধী’ আছে। আর কিশোর অপরাধীদের প্রতিরোধ করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারাই এসব অপরাধমূলক কার্যকলাপ করে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here