লালপুরে স্বাস্থ্য সেবিকার হত্যা’র রহস্য উদঘাটন, মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

0
104

মোঃ রেজাউল করিম, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরে লাশ পাওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস (স্বাস্থ্য সেবিকা) মাহমুদা শারমিন বিথি (৩২) হত্যা’র রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত মাহমুদা শারমিন বিথি

মাহমুদা শারমিন বিথি (৩২) নাটোরের লালপুরে গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতালে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিল। গত বৃহস্পতিবার ২৩শে নভেম্বর কাজ শেষে প্রতিদিনের মত রাত ৮ টা’র মধ্যে বাড়ি না ফিরলে নিহতর বাবা মো: আমজাদ হোসেন (মামলার বাদি) মেয়েকে অনেক খোঁজ করেও সন্ধান পান নাই। শুক্রবার ২৪শে নভেম্বর সকালে লালপুরের গোপালপুর পৌরসভার অন্তর্গত তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে একজন মহিলার লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে নিহতের বাবা সেখানে গিয়ে মেয়ের লাশ সনাক্ত করেন। অনুমান সকাল ০৮.৩০ টার দিকে লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে লালপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

এ সময় সিআইডি’র ক্রাইমসিন ইউনিটও ঘটনাস্থলে আসে। সুরতহাল শেষে ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

উক্ত নিহত হওয়ার ঘটনা অবগত হওয়ার সাথে সাথে নাটোর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মো: তারিকুল ইসলাম পিপিএম মহোদয়ের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় বড়াইগ্রাম সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্যান্য অফিসার-ফোর্স ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে এবং লাশ পাওয়ার মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যে উক্ত হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দাম (২৯), পিতা-মোঃ সোহরাব হোসেন, গ্রাম-কামারদহ, থানা- বড়াইগ্রাম, জেলা-নাটোরকে বড়াইগ্রামের আহমেদপুর থেকে ২৪ নভেম্বর ৬টা ৪০ মিনিটের সময় গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দাম হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করেছে এবং তার দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশের ঝোপ হতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। সাদ্দামের সাথে নিহত বিথির দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক চলে আসছিল। এক পর্যায়ে ভিকটিম বিথি আসামি সাদ্দামকে বিবাহের জন্য চাপ দিলে মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দাম এতে অপারগতা জানিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় আসামি মোঃ জাহিদ হাসান সাদ্দাম নিহত বিথিকে কৌশলে ডেকে নেয় এবং গোপালপুর পৌরসভার তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে আম বাগানে ভিকটিমকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।

অত্র ঘটনায় নিহতের বাবা মো: আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে লালপুর থানায় এজাহার দায়ের করলে লালপুর থানার মামলা নং-২১, তারিখ-২৪/১১/২০২৩ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here