মাধবপুর ( প্রতিনিধি) হবিগঞ্জঃ হবিগঞ্জ জেলা মাধবপুর উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউপি’র শাহপুর গ্রামে এক আওয়ামী যুবলীগ নেতার চলাচলের রাস্তায় জোর পূর্বক বেড়া দিয়ে ( রাস্তার) প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ঘরজামাই ।
স্হানীয় সালিশ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপেও কোন সুরাহা হয়নি এই ঘটনার। এই ঘটনাটি, উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোঃ জাবেদ মিয়ার বাড়ির চলাচলের রাস্তায় বেড়া দেয়ায় গত ৪ দিন যাবত প্রতিবন্ধকতা পড়ছেন যুবলীগ নেতার পরিবার।

চলাচলের রাস্তা না থাকায় তারা সংসারের নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য সহ পরিবারে একটি শিশু প্রতিবন্ধী ও একটি মেয়ে স্কুল পড়ুয়া তাদের যাতায়াত সহ হাট-বাজারে স্কুলে এবং ডাক্তারের কাছে যেতে পারছেন না। সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ঐ পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে মোঃ সেলিম মিয়া থেকে ৩শতক জমি ক্রয় করেন যুবলীগ নেতার মা মোছাঃ জাহেনারা বেগম। গত ০৫ মে সকালে স্থানীয় জমির মালিক প্রভাবশালী মোঃ সেলিম মিয়া ওরফে সেলিম সিকদারের বোন জামাই (বরখত উল্লাহ্ ওরফে ঘরজামাই) কাউকে কিছু না জানিয়ে তাদের ঘরের সীমানা ঘেঁষে বাঁশের খুঁটি পুতে বেড়া দেন। কিন্তুক ভুক্তভোগী জাবেদ মিয়াসহ তার পরিবার তারা পূর্ব থেকেই রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন কোন সমস্যা হয়নি ।

হঠাৎ করে তারা বেড়া দেয়ায় প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়তে হয়েছে ওই বাড়ির লোকজন, যোগাযোগের জন্য গাড়িতো দুরের কথা পায়ে হেটে চলাচলের রাস্তা না থাকায় সংসারে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য ক্রয় করতে হাট-বাজারে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এবং সম্ভব হচ্ছেনা পরিবারের মেয়ে স্কুলে যেতে, পারছেনা পরিবারের অসুস্থ ব্যক্তিদের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে , এমন অবস্থায় আর কয়েকদিন রাস্তাটি বন্ধ থাকলে তাদের দুঃখ ও কষ্টের সীমা থাকবে না।

ঘরবন্ধি যুবলীগ নেতা, সৈয়দ মোঃ জাবেদ মিয়া মিয়া বলেন, আমার বাড়ির সামন দিয়ে রাস্তাটি ছিল। রাস্তায় আমাদের জমির কিছু অংশ আছে। কিন্তু তারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের রাস্তার উপর দিয়ে অন্যায়ভাবে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে । আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সদস্য। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে বুকে আগলিয়ে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে স্বচেষ্টায় জীবনের প্রতিটি মহূর্তে কাজ করে যেতে চাই। তাছাড়া আমাদের সরকার ক্ষমতায় আছে বলে আমি কারো উপর কোন রকম প্রভাবিত হতেও চাই না।
তারা খুবই দুষ্কর্ম্মের প্রকৃতির লোকও বটে। তাই তাদের কিছু বলতে পারছি না। এখন আমিসহ আমার পরিবারের সকল সদস্য তিনদিন যাবত বাড়ি থেকে বাহিরে যেতে পারছি না। এমন অবস্থায় আমি আমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেল সহ উপজেলা প্রশাসন ও সচেতন সমাজের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি কামনা করে সহযোগীতা চাচ্ছি।
এই বিষয়ে জমির মালিক মোঃ সেলিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই জায়গার রাস্তা হল খাল পাড়ের ( ছড়ার) দিকে । এই দিকে কোন রাস্তা নেই। আমি জায়গায় বিক্রি করেছি সত্যি কিন্তুক আমারও ঐ দিকে কোন রাস্তা নেই। তাছাড়া চলাচলের রাস্তা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার বিষয়ে মোঃ বরকত উল্ল্যার সাথে মোবাইল ফোনে করতে চাইলে উনার মোবাইল ফোনটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে তার কোন বক্তব্য তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।