সকল জল্পন কল্পনার অবসান ঘটিয়ে উদ্বোধন করলেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু 

0
120

পদ্মা সেতুর দুয়ার খুললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এফআইআর টিভি অনলাইন ডেস্কঃ পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী।  ১২: ১২, জুন ২৫, সেতুতে নামলেন প্রধানমন্ত্রী, এরপর পাড়ি দিলেন সেতু, দুপুর ১২টার দিকে মাওয়া প্রান্তে ফল উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেখানে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি সেখানে মোনাজাতেও যোগ দেন।

উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী মাওয়া পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। জাজিরার দিকে যাওয়ার পথে দুপুর ১২টা ১২ মিনিটের দিকে গাড়ি থামিয়ে নেমে যান প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে তিনি বিমান বাহিনীর মহড়া দেখেন। এরপর ১২ টা ২৬ মিনিটের দিকে তিনি আবার গাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে তিনি জাজিরা প্রান্তে পৌছান।

জাজিরা প্রান্তে ও ফলক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

১১: ৫৪, জুন ২৫, মাওয়া প্রান্তে টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন। এর আগে ১১টা ৪৮ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে টোল দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রী ও অতিথিদের গাড়ি সেতু পাড়ি দেয়। আগামীকাল রোববার ভোর থেকে টোল দিয়ে সাধারণ যানবাহন চলাচল শুরু করবে সেতু দিয়ে।

১১: ৩৭, জুন ২৫, মাওয়া পয়েন্টে টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তিনি সেখানে মোনাজাতেও যোগ দেন।

উদ্বোধনের তিনি মাওয়া পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত দলের জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বিকেলে হেলিকপ্টারে জাজিরা পয়েন্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর নির্মান কাজে ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অংশ দৃশ্যমান হয়। পরে একের পর এক ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হয় ৪১টি স্প্যান। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে বহুমুখী ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর সম্পূর্ণ কাঠামো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।

স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন দেশের বৃহত্তম স্ব-অর্থায়নকৃত মেগা প্রকল্পের জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীমাওয়া পয়েন্টে স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শীট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেছেন। এরপর তিনি সেতু সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ছবি তোলেন।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ১.২ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত জিডিপি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

১১: ১৮, জুন ২৫, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সেতু কেবল সেতু নয়। এর ৪২টি স্তম্ভ স্পর্ধিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।

১১: ১০, জুন ২৫, আমরা মাথা নোয়াইনি, মাথা নোয়াব না: প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারও বিরুদ্ধে আমার কোনো অনুযোগ নেই। আমরা নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা দেশবাসীকে নিয়ে সব সমস্যা মোকাবিলা করে যাচ্ছি।

বক্তব্যে আবেগাপ্লুত দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি সেতু নির্মাণে সাহস জোগানো বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা আবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, ‘জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা মাথা নোয়াইনি, আমরা মাথা নোয়াব না। জাতির পিতা আমাদের মাথা নোয়াতে শিখান নাই।’

১০: ৫৭, জুন ২৫, বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাওয়া প্রান্তে
বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এটি শুধু কংক্রিটের সেতু নয়, সম্মান আর সক্ষমতার প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে আর কিছুক্ষণ পরেই। বহু কাঙ্ক্ষিত সেই সেতুর উদ্বোধন করতে সেতুর মাওয়া প্রান্তে আগেই পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি দেশবাসীকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন তিনি। তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণে জড়িতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের কারণে সেতু নির্মাণে বেগ পেতে হয়েছে। তবে থেমে যায়নি। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নি।

১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের গল্প তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি শুধু ইট, রড, সিমেন্ট ও কংক্রিটের সেতু নয়, বাংলাদেশের সম্মান আর সক্ষমতার প্রতীক। এই সেতু নির্মাণ ঠেকাতে ষড়যন্ত্র হলো।’

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। টাকা ছাড় না হতেই দুর্নীতির কথা বলা হলো। মামলা হলো। সব কিছু পেরিয়ে আমরা আজ এ সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছি।

১০: ১৪, জুন ২৫, উদ্বোধন ঘোষণার অপেক্ষায় লাখো মানুষ। দক্ষিনের লাখো মানুষ অপেক্ষায় আছেন প্রধানমন্ত্রী কখন স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেবেন আর তাদের কাছে আসবেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের কালের স্বাক্ষী হতে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষন শুনতে গতকাল শুক্রবার রাত থেকে জাজিরার নাওডোবা ও শিবচরের কাঠালবাড়িতে মানুষ আসতে শুরু করেছেন। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ছাড়াও চাঁদপুর, লক্ষীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ থেকে মানুষ এসেছেন। সকাল ৮টার মধ্যে জাজিরা ও শিবচরের অন্তত চারটি ইউনিয়নের সড়ক লোকে-লোকারন্য হয়ে যায়। গ্রামের বিভিন্ন সড়ক ধরে মানুষ সমাবেশ স্থলে আসতে থাকেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষে পদ্মার তীরের ৬ কিলোমিটার এলাকা ভরে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here