সন্ত্রাসী হামলায় আনসার কমান্ডার আহত ! গুরত্বর অবস্থায় সিলেট ওসমানীতে প্রেরন

0
109

মোঃ আকিকুর রহমান রুমন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আনসার সহকারী কোম্পানি কমান্ডার নুরুল আমিন খান(৫৩)নিজ বসত ঘরে সন্ত্রাসী হামলার শিকাড় হয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আহত নুরুল আমিন খান কে গুরুতর অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল থেকে রেফার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও আহত পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে জানাযায়, (১৭ জুলাই) রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং মধুখানী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারীরা হঠাৎ করে দলবেঁধে এই আনসার কমান্ডারের ঘরের দরজা ভেঙে নিজ বসত ঘরে প্রবেশ করে, এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে নুরুল আমিন খান’কে আহত করে পালিয়ে যায়।

হামলাকারীরা হলো,একই গ্রামের হানু মিয়ার পুত্র ফারহান মিয়া(৩০)সাদ্দাম (২৬) ও দাউদ মিয়া (২০)। আহত পরিবারের লোকজন আরও জানান,তারা প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘুমে ছিলেন। হঠাৎ তাদের উপর এই আক্রমণ চালায় হামলাকারীরা।
তাদের আশপাশে আর কোন বাড়িঘর না থাকায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসিরা মাছ ধরার তুফি ও হাতুড়ি দিয়ে নুরুল ইসলাম খানকে আঘাত করে গুরুত্বর আহত করে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমার ফেরারি আসামি। তাদের বিরুদ্ধে মারামারি,চুরি ও ধর্ষণ সহ একাধিক মামলা রয়েছে।

এসব মামলার কারনে বানিয়াচং থানা পুলিশ প্রায় সময়ই তাদেরকে গ্রেফতার করতে আসেন এবং বিভিন্ন ভাবে তাদের খুঁজ খবর নেন এলাকায় এসে। এসব কারনেই হামলাকারীরা আনসার বাহিনীর সহকারী কোম্পানি কমান্ডার কে সন্দেহ করে। এবং ঘটনার দিনও হামলার পূর্বে বানিয়াচং থানা থেকে পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের খোজ করে আসে গ্রেফতার করার জন্য। এ হামলার ঘটনা সম্পর্কে আহত নুরুল আমিন খানে’র স্ত্রী আসমা খাতুন জানান,ওরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক। এটা এলাকাবাসীসহ বানিয়াচং থানার পুলিশ প্রশাসনও অবগত রয়েছেন। এমনকি ওদের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় চুরি,মারামারি ও ধর্ষনের মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি আচ করতে পেরে তারা পালিয়ে যায়। তাই পুলিশ বাহিনী চেষ্টা চালিয়েও, বার বার ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
পুলিশ এই ধারাবাহিক অভিযানের কারনেই সন্দেহ করে আমাদের উপর এই হামলা চালিয়েছে তারা।
আমার স্বামীকে হামলার দিনও বানিয়াচং থানা পুলিশ এদেরকে গ্রেফতারের জন্য আসেন এবং বিভিন্ন মারফতে খোজ খবর নিয়ে যান।
পুলিশের এমন অভিযান চালানো ও খোজ খবরের বিষয়ের জন্য,এসব অপরাধীরা আমার স্বামীসহ আমাদেরকে পরিবারের লোকজনকে সন্দেহ করে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তাই আমি এই হামলাকারীদের বিচার দাবি করছি সরকারের নিকট আপনাদের  ( গনমাধ মাধ্যমে।

এব্যাপারে বানিয়াচং থানার দায়িত্বে থাকা অফিসার ইনচার্জ(ওসি তদন্ত)কবির হুসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে,তিনি ঘটনাটি শুনেছেন বলে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here