স্টাফ রিপোর্টারঃ এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের নাসিরনগর উপজেলা প্রতিনিতি এবং এফআইআর টিভি অনলাইন এর বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নানের সহযোগিতায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায়ের আন্তরিক চেষ্টা আর ডাঃ তানভীর আনসারী রকির সু-চিকিৎসার ফলে দীর্ঘ ৩ দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন নাসিরনগর কলেজ মোড়ে চিকিৎসা নিতে আসা অজ্ঞান পার্টির কবলে পরা গোয়ার নগর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মোঃ ছপিল মিয়ার স্ত্রী বৃদ্ব সমুজা বেগম।
হাসপালে কথা হয় সমুজা বেগমের সাথে।তিনি বলেন,গত শুক্রবারে বাড়ি থেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য আসেন কলেজ মোড়ে।ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দেখিয়ে বের হওয়ার সময় বোখরা পড়া এক মহিলা সাথে একজন পুরুষও রয়েছে।সমুজাকে দেখে ওই বোখরা পড়া মহিলা কাছে গিয়ে খুব বিনয়ের সঙ্গে বলেন আপনি দেখতে আমার মায়ের মত।পরে সমুজার কাছে পান খেতে চায় ওই মহিলা।সমুজা তখন তার ডিব্বা থেকে পান খুলে ওই মহিলাকে খেতে দেন।ওই বোখরাওয়ালী তখন সমুজাকে একটি ঠান্ডা টাইগার খেতে দিলে সমুজা ওই টাইগারটি খেয়ে ফেলেন।পরে সমুজাকে মোস্তাক হুজুরের কাছে নিয়ে চায়,পরে ফার্মগেট নিয়ে ঘুরে আসে।তার পর কি হয়েছে আর বলতে পারে না সমুজা।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার দুপুরে নাসিরনগর কলেজের ল্যাট্রিনের পাশে সমুজাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে কলেজ শাখার ছাত্রলীগেন সাধারণ সম্পাদক আবির ইসলাম বাপ্পী সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নানকে জানালে,সাংবাদিক,বাপ্পী ও ২ জন কলেজ ছাত্রের সহযোগিতায় সমুজাকে অর্ধমৃত অবস্থায় ভর্তি করা হয় নাসিরনগর হাসপাতালে।ডাক্তারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নিরলস সেবার ফলে আজ ৩ দিনপর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন সমুজা।