এফআইআর টিভি অনলাইন ডেস্কঃ বাংলা’র আইঢল সাংবাদিক জগতের সবচেয়ে প্রিয় মুখ সিনিয়র রিপোর্টার ইনভেস্টিগেশন সেল পদে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন, দৈনিক দেশপত্র পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রিমন এর লেখা যা হুবহু তুলে ধরা হল।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ইত্তেফাক এর সিরাজুদ্দীন হোসেন, সংবাদ এর শহীদুল্লাহ কায়সার, শিলালিপি’র সেলিনা পারভিন এর মতো সাংবাদিকরা শহীদ হওয়ার মধ্য দিয়ে গোটা সাংবাদিক সমাজকে গৌরবদীপ্ত করে গেছেন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও দুর্নীতি, লুটপাট, মাদক বাণিজ্যসহ দেশ ধ্বংস বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোসহীন কলমযুদ্ধ চালানোর কারণে আরো বেশ সংখ্যক সাংবাদিককে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিতে হয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দেশের তরে জীবন দিয়ে শহীদের মর্যাদা লাভকারী সাংবাদিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পর্যন্ত করা হয়নি আজও। না সরকারি ভাবে, না বেসরকারি ভাবে। এমনকি সাংবাদিকদের কল্যাণের নামে গড়ে ওঠা নানা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকেও সারাদেশে শহীদ সাংবাদিকদের তালিকা প্রনয়ণের ফলপ্রসু কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না। সেখানে সাংবাদিক হত্যা মামলাগুলো কী অবস্থায় রয়েছে, কেমন আছে নিহত সাংবাদিকের পরিবার পরিজন-সেসব খবর নিবে কে?
অমানবিক ও ধারাবাহিক অবহেলার শিকার সাংবাদিকতাকে তবুও দেশপ্রেমী কিছু মানুষ আজও পেশা হিসেবে বেছে নেন, তারাই হামলা, মামলা, নীপিড়ন, নির্যাতন, হয়রানিসহ পদে পদে বঞ্চণা আর তাচ্ছিল্যের শিকার হন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালেই সংঘবদ্ধ নানা অপরাধীচক্রের কাছে প্রাণ হারানো যেমন রুটিন ব্যাপার হয়ে উঠেছে, তেমনি সাংবাদিক হত্যার বিচার না পাওয়াও ‘নিয়তি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়া ‘শহীদ সাংবাদিক’দের বিবরণ, তাদের চলমান মামলা ও পরিবার পরিজনদের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশনাসহ বিশেষ কিছুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)। এ লক্ষ্যে সাঈদুর রহমান রিমনকে প্রধান করে গঠিত কমিটি এরইমধ্যেই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। পেশার প্রতি, মানবতার প্রতি, সাংবাদিকদের প্রতি দায়বদ্ধতার ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত সৃষ্টির এ উদ্যোগে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ যুগ যুগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আমরা কারো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঘটনায় নিহতকে যেমন ‘শহীদ সাংবাদিক’ আখ্যা দিতে চাই না, তেমনি পেশাগত দায়িত্বের জেরে কোনো সাংবাদিকের জীবনদানের ঘটনাও ভিন্নখাতে প্রবাহের বিন্দুমাত্র সুযোগ দিবো না।
* সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকালে বা সংবাদের জের ধরে সাংবাদিক হত্যাকান্ডের আর কোনো ঘটনা আপনার জানা আছে কী? কোন্ ঘটনায়/খবরের জেরে, কোথায়, কবে, কে জীবন হারিয়েছেন? * উল্লেখিত সাংবাদিকের হত্যা মামলাটি এখন কী অবস্থায় রয়েছে? * সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের অবর্তমানে তার পরিবার পরিজনের পরিস্থিতি কী?
সম্ভব হলে জীবনদানকারী সাংবাদিকের ছবিসহ এটুকু তথ্য ১২ মে, ২০২২ তারিখের মধ্যে প্রদান করে সহকর্মির প্রতি সহমর্মিতা জানাতে সম্মানীত সাংবাদিকদের কাছে বিশেষ আবেদন রাখছি। বিশেষ করে জেলা, উপজেলা প্রেসক্লাবসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিক সংগঠনগুলোর কাছে এ তথ্য সহায়তা আমাদের অধিকারের চাওয়া…. সাঈদুর রহমান রিমন)