সাতছড়ি থেকে আবারও বিস্ফোরক গুলিসহ বুস্টার উদ্ধার

0
236

এম এ কাদেরঃ হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহিন অরণ্য থেকে ১৫টি রকেট প্রফেল গ্রেনেড, লরেঞ্জ অটোমেটিক মেশিনগানের গুলি ৫১০ রাউন্ড ও ২৫টি গ্রেনেড বুস্টার উদ্ধার করেছে কাউন্টার টেররিজমের একটি ইউনিট।

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যোণ যেন অবৈধ অস্ত্রের নিরাপদ স্থান অপরাধীদের জন্য হয়ে গেছে।

২৭ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৪টায় চুনারুঘাট থানায় কমপ্লেক্সের ভেতরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি জানান, ঢাকা যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিনসহ আবেদ ত্রিপুরা ওরফে অমিত নামে একজনকে আটক করা হয়। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এক পর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যমতে তাকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার রাত ৩টা থেকে চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদযানে অভিযান চালানো হয়।

সেখান থেকে ১৫টি রকেট প্রফেল গ্রেনেড, লরেঞ্জ অটোমেটিক মেশিনগানের গুলি ৫১০ রাউন্ড ও ২৫টি গ্রেনেড বুস্টার উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, আটক অমিতের বাড়ি খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায়। বর্তমানে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযান চলমান রয়েছে। অমিতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে চলতি বছরের গত ২ মার্চ অভিযান চালিয়ে ১৮টি কামানবিধ্বংসী রকেট সেল উদ্ধার করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৩৪টি কামানবিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‌্যাব।

এরপর আবারও ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদযানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, থ্রিনটথ্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।

৫ম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাইএক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়। ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদযান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here