আক্তার হোসেন ( বাবু), গজারিয়া থেকেঃ সারাবিশ্বের নেয় আমাদের বাংলাদেশেরও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি অপরিসীম। তার’ই ধারাবাহিকতায়, নদীপথে নির্বিধায় চলাফেরা করার লক্ষ্যে নানা সতর্কতামূলক নৌ দুর্ঘটনা রোধে এক শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৩১শে মে মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১নং হোসেন্দী ইউনিয়নের আওতাধীন হোসেন্দি বাজার সংলগ্ন ইকোনমিক জোন (সিটি),কোম্পানির ভিতরে বিকাল ৩ ঘটিকার সময় অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে,সিটি নেভিগেশন লিমিটেড এর উদ্বোধক কর্মকর্তা ব্যক্তিবর্গ সহ জাহাজে ৪ শতাধিক কর্মরত মাস্টার,ড্রাইভার,স্টাফ ইঞ্জিনিয়ার এবং শ্রমিকদের নিয়ে মত বিনিময় ও আলোচনা হয় অনুষ্ঠিত হয়।
সে সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস.এম.কামাল হোসেন,মহাব্যবস্থাপক অপারেশন সিটি নেভিগেশন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মোঃজিয়াউর রহমান মহাব্যবস্থাপক নেভিগেশন হোসেন্দী,
বিজন কুমার সাহা সহকারী মহাব্যবস্থাপক সিটি নেভিগেশন।
উক্ত আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে -নদীপথে জাহাজ এর রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায়, দেশের বিভিন্ন নদীপথে নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন কলকারখানা, মেইল, ফ্যাক্টরি, আর তাদের ব্যবসা পরিচালনার প্রধান চলাচল নদীপথ। নৌযান চলাচলের নির্দিষ্ট স্থানে নৌযান কিংবা শীপ বা অন্যান্য নৌযানগুলো অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে নদীর মাঝখানে লঙ্গর করে রাখে, এতে করে দূর গামী বা দ্রুতগামী জাহাজ এবং নানান নৌযানগুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়।
নদীপথে কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ছাড়াই অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান,কোন প্রকার নিয়ম কারণ ছাড়াই আইন অমান্য করেই যখন যেদিকে ইচ্ছে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, নৌপথে চলাচল করতে হাজারো অনিয়মের কারণ দশিয়ে উপস্থাপন করেন নৌযান চলাকদের মাঝে। এ সময় নৌযান চালক কিংবা জাহাজে কর্মরত শ্রমিকরা তাদের সুবিধা-অসুবিধা নানা দিকগুলো ও তুলে ধরেন।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি এস এম কামাল হোসেন জাহাজের সকল সেক্টরের কর্মরত মাস্টার ড্রাইভার স্টাফ সকলের যথা যুক্তি দাবিগুলো পূরণে আশ্বস্ত করেন।এর সাথে সচেতনামূলক বক্তব্য পেশ করেন তিনি।একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না, একটি দুর্ঘটনা নিজের ক্ষতি,অন্যের ও ক্ষতি, কোম্পানির ক্ষতি এবং দেশ ও জাতির ক্ষতি। আমি বিনীতভাবে আপনাদের অনুরোধ করছি আপনারা যখন ন্যারো(চিকুন)চ্যানেলে ঢুকবেন তখন জাহাজের স্প্রিট নিয়ন্ত্রণ রেখে সতর্কতার সাথে জাহাজ পরিচালনা করবেন। তিনি আরো জানান দায়িত্বরত অবস্থায় আপনারা যে কাজগুলো করিলে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবেন, তাহা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকবেন। যেমন- মোবাইল চালানো, অনিয়ন্ত্রিত গতি, দুশ্চিন্তা, বে-আইনি কোন কাজ, এবং জাহাজ চালানোর আগে জাহাজের সকল কিছু ঠিক-ঠাক মতো আছে কিনা দেখে নেবেন ইত্যাদি বিষয়।
সবার সুস্বাস্থ্য এবং প্রতিষ্ঠানের সফলতা কামনা করে সবার কাছে দোয়া চেয়ে খাবার বিতরণের মধ্যদিয়ে উক্ত মতবিনিময় ও আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।