সিলেট মদন মোহন কলেজের ছাত্রদলে আবারও বিবাহিত নেতৃত্ব্য নিয়ে বিত্বর্ক সমালোচনা

0
142
এম এ কাদেরঃ সিলেটের মদন মোহন কলেজের ছাত্রদলের জহিরুল ইসলাম আলাল’কে মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় প্যাডে লিখিত ভাবে সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এবং এই বিষয়টি (আবুল হাসনাত সাজ্জাদ,দপ্তর সম্পাদক, সিলেট মহানগর ছাত্রদল) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলঃ 
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মদন মোহন কলেজ শাখার সদস্য সচিব মকসুদুল করিমের
অনুপস্থিত জনিত কারণে সংগঠনের গতিশীলতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে অত্র শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম আলালকে মদন মোহন কলেজ শাখার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হল। সিলেট মাহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন, যা আজ ১৪/১০/২০২২ ইং তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের পর থেকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
বিএনপির সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সিলেট মদন মোহন কলেজ শাখার কমিটি গত
২০২০সালে ১৩ই ফেব্রুয়ারী মুক্তার আহমদ মুক্তারকে আহ্বায়ক ও মকসুদুল করিমেকে সদস্য সচিব করে অনুমোদন দেন সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি -সাধারণ সম্পাদক যেখানে ৪৫দিনের মধ্যে কমিটি পূর্নাঙ্গ করার কথা থাকলেও পেরিয়ে যায় দুই বছরেরও অধিক সময়। সম্প্রতি গত ১৪ই অক্টোবর মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মকসুদুল করিমের অনুপস্থিতি জনিত কারনে কলেজ ছাত্রদলের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম আলালকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু আলাল দায়িত্ব পাওয়ার পর আলালকে নিয়ে শুরু হয় নতুন আলোচনা সমালোচনা শুনা যাচ্ছে তিনি নাকি বিবাহিত ও এক কন্যা সন্তানের জনক। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা। কারন সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৮ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া ছাত্রদলের কাউন্সিলে বিবাহিত থাকার কারনে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীকে বাদ পড়তে হয় প্রার্থী হওয়া থেকে। এর পরবর্তী সময়ে যতগুলো কমিটিই হয়েছে সবগুলোতেই অবিবাহিত থাকার বিষয়টিকে মূখ্য গুরুত্ব দিচ্ছে সংগঠনটি। কিন্তু সম্প্রতি আবারও মদন মোহন কলেজ কমিটি নিয়ে বিবাহ বিতর্ক শুরু। যেখানে দেখা যাচ্ছে জহিরুল ইসলাম আলাল তার স্ত্রীর নাম লুবনা বেগম গত বছর ২০২১ সালের আগষ্ট মাসে ডেল্টা স্পেসালাইজড হসপিটালে আলাল লুবনা দম্পতি  এক কন্যা সন্তানে জন্ম দেন। হসপিটালের রেজিঃ নং-১১১৫/৪
কেবিন নং-৪০২ যেখানে স্বামী আলালের স্বাক্ষর ও তার ব্যক্তিগত ব্যাবহিত ফোন নাম্বরটিও দেওয়া আছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হসপিটাল কতৃপক্ষ এছাড়াও তার বিবাহিত থাকার আরো তথ্য উপাত্ত আমাদের পোর্টালের কাছে রয়েছে। এ ব্যপারে আলালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে এড়িয়ে যান।পরে  ফোন (০১৭১৫-৭৭৮০১১) নাম্বারে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি এদিকে সদস্য সচিবের অনুপস্থিতিতে প্রথম সদস্য নোবেল আহমদ সাঈমকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার কথা থাকলেও এখানে পক্ষপাত মূলক আচরন হয়েছে বলেও অভিযোগ আছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র কমিটির  একজন আমাদের জানান বিবাহিতরা ছাত্রদলের কমিটিতে আসতে পারেনা এই সিদ্ধান্তটি আমাদের সাংগঠনিক অভিবাবক তারেক রহমানের কিন্তু আজ এই কমিটি দেখে মনে হয়েছে তারা উনার সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে বিবাহিত ব্যক্তিকে সদস্য সচিব বানিয়েছেন তাই আমরা কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বরাবরে অভিযোগ দিব বলে আমাদের জানিয়েছেন।
এবিষয়ে সিলেট ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ দাস ও সাধারণ সম্পাদক আহসান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানা, বিষয় টি আমরা অবগত নয়। আর এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যদি এধরণের কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সংগঠনের গঠনতন্ত মূলক প্রয়োজনী ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here