আকিকুররহমান রুমন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আওয়ামিলীগ’র এক নেতা নামধারীকে চুরির মামলায় আসামি করার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্হানে মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করার খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেইসবুক)এর একটি পোস্টের সূত্র ধরে এই নামধারী নেতাকে নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে মুখোশের আড়ালে অন্ধকার জগতের অপরাধের অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায় এলাকাবাসী ছাড়াও দেশের বাহির থেকে।
এই নেতা তার মূল ঘটনাকে আড়াল করতে গিয়ে তিনি তার নিজের(ফেইসবুক)আইডি থেকে ৯দিন পর জনৈক জনপ্রতিনিধিকে উদ্যেশো করে একটি হুমকির পোস্ট করেন।
তারপর এই বিষয়টি নিয়ে একটি অনুসন্ধান মূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে প্রকাশিত হওয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও হবিগঞ্জের স্হানীয় দৈনিক পত্রিকায়। আর এই সংবাদের মূল ঘটনাসহ বিস্তারিত সবকিছু উঠে আসে। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মূল বিষয় জানতে পেরে অনেকেই তাকে দলকে বহিষ্কারসহ তাকে বিচারের আওতায় আনার শাস্তি দাবি করে মতামত প্রকাশ করেন। এসব দেখেই শুরু হয় এই নামধারী নেতা মোয়াজ্জেম দৌড়ঝাঁপ।
এমনকি জনপ্রতিনিধি(মেম্বার)তাজুল ইসলামকে ফাঁসাতে গিয়ে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নিয়ে দূর্নীতিবাজ প্রমান করতে বিভিন্ন দফতর সহ উপজেলার নেতাদের কাছেও দৌড়ঝাঁপ করার খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে তাকে নিয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এই মোয়াজ্জেমের বিভিন্ন অপকর্মের তথ্য চিত্র আসতে থাকে আমাদের হাতে।
মোয়াজ্জেমের বাহিনী নিয়ে গাঁজা আসর বসিয়ে নিজে সেবন করার চিত্র সহকারে একটি ভিডিও চিত্রেও থাকে দেখা যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন,এখান থেকে তার নেতৃত্বে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রমের গোপন বৈঠক হয়।
এবং এখান থেকেই তারা বিভিন্ন স্হানে মাদক ব্যাবসাসহ চুরি,ছিনতাই ও নানান অপরাধ অপকর্ম করে থাকেন।
এছাড়াও একটি সিএনজি অটোরিকশা থেকে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে লোকজনকে বন্টন করে দেওয়ার কথা বলে এক প্রকার নিজেই জোর পূর্বক চুরের মতো করে এক বস্তা পেঁয়াজ নিয়ে মাথায় করে পালিয়ে যাচ্ছে এই নামধারী নেতা মোয়াজ্জেম।
অন্যদিকে(মেম্বার)তাজুল ইসলামকে ফাঁসাতে তার এলাকার ওয়ার্ডের লোকজনের দুয়ারে দুয়ারে গুরে বেড়াচ্ছে তার বিরুদ্ধে ৩মাস পূর্বে কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে ভিডিও চিত্র ধারন করে প্রমান পত্র জোগাড় করতে।
তার এমন কর্মকান্ডের এবং যাদেরকে কাছ থেকে এসব সংগ্রহ করা সম্ভব হইনি এই প্রতারক মোয়াজ্জেমের এসব ভিডিও ফুটেজও চলে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মিডিয়া কর্মীদের হাতে।
তার হুমকির পোস্টটি এক পর্যায়ে নজরে পড়ে গণমাধ্যম কর্মীর। এবং এই পোস্টকে উদ্যেশে করে একটি মতামত উপস্থাপনও করা হয়।
তারপর থেকে এনিয়ে শুরু হয়েছে এক তুলকালাম এক কান্ড।
তারপর অনুসন্ধান চালিয়ে মূল ঘটনাসহ বেড়িয়ে আসতে থাকে নেতা নামধারী বহু নৈপত্যের অপকর্মের হুতা ভিলেন মোয়াজ্জেমের।
এবং তার অন্ধকার জগতের বাহিনী নিয়ে বাদশার ভূমিকা পালনের অজানা কাহিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেইসবুক)তিনি
প্রতিবাদকারী ও আওয়ামিলীগ এর নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে যাচ্ছেন।
কিন্তু নামেই তিনি এসব সাইনবোর্ড ব্যাবহার করে যাচ্ছেন বলে
গ্রামের সাধারণ লোকজন থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন,সংবাদকর্মীসহ দেশ বিদেশের লোকজনের কাছ থেকে জানাযায় এবং অনেক তথ্য পাওয়া যায়।
এমনকি বড় বড় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ভয়ভিতী দেখিয়ে হয়রানি করাসহ হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা পয়সা।
আর এমন সুযোগ সুবিধা না পেলেই অনেকের গোপন তথ্য প্রকাশ পায় হুমকির মাধ্যমে আকার ইঙ্গিতে তার(ফেইসবুক)পোস্ট এর মাধ্যমে।
তারপর আবার এসব দূর্নিতীর তথ্য উপাত্ত সংবাদকর্মীদেরকে দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য একের পর তাগিদ দিতে থাকে।
তার এসব থেকে বাদ পড়েনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর লোকজনও।
তাদেরকেও এসব তথ্য দিয়ে রাত-বেরাতে ফোনে গ্রেফতার করার জন্য এক প্রকার চাপ সৃষ্টি করে বানিয়াচং থানা পুলিশকে এই নেতা নামধারী মোয়াজ্জেম হোসেন।
তার এমন প্রতারনার ও বিভিন্ন কর্মকার্ডের বিষয়টি ইতিপূর্বে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এক কর্মকর্তার আলাপচারিতায় জানাযায়।
তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে আরও জানাযায়,
সে তার নিজ এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা,সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাকমেইল এবং বহু দাঙ্গা হাঙ্গামা মামলার অন্যতম আসামী হয়ে সমাজের চোখে এসবের গোপন রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যায়ের প্রতিবাদকারী হয়ে ভালো মানুষরূপী ভূমিকায় অভিনয় করে যাচ্ছে এই ভিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন।
তার এমন প্রতারনার অপকর্মের কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ লোকজন।
এমনকি তার হাত থেকে রেখাই পাচ্ছেনা সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীগন।
অন্যজনের কাজ কর্ম নিজে(দালালী)করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন অফিসে নিজের আত্মীয় পরিচয়ে দেয় এসব কাজের লোকজনকে।
আর দ্রুত কাজ করে নিতে বিভিন্ন প্রভাবের মাধ্যমে চাপসৃষ্টি এসব কাজ করিয়ে যাচ্ছে বলেও জানাযায়।
এদিকে বানিয়াচং থানার মামলার এজাহার সূত্রে দেখাযায়, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৫নং পৈলার কান্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কুমড়ী দূর্গাপুর গ্রামের আঃরউফ মিয়ার পুত্র এই মোয়াজ্জেম হোসেন এই মামলার আসামী রয়েছেন।
মামলার বাদী হচ্ছেন একই ঠিকানার পাশাপাশি বাড়ির তার চাচাতো ভাই হন বর্তমান(মেম্বার) জন-প্রতিনিধি ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম।
সম্প্রতি তাজুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনও রেহাই পাননি এই মুখোশধারী নেতা নামধারী প্রতিবাদী যুবক সন্ত্রাসী মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার দলবল এর হাত থেকে।
ইউপি সদস্য’র পরিবারকে মারপিট করার পর এবং মামলা দায়েরের ঘটনার পর থেকে দেশ-বিদেশ হতে আসতে থাকে এই অন্ধকার জগতের বাদশা মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মোয়াজ্জেম হোসেন বয়স(২৫)সে তার ১৫নং পৈলারকান্দী ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ’র সাংগঠনিক সম্পাদকের পরিচয় দিয়ে তার নিজ গ্রাম কুমড়ীসহ আশপাশের গ্রাম গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে নেতা পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।
এমনকি স্হানীয় সংসদ সদস্য, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সেলফিবাজী ও তার ফটোসেশান থেকে বাদ যায়নি।
আর এসব ছবি নিজের আইডি থেকে পোস্ট করে নেতার স্থায়িত্ব দেখিয়ে,মাদক ব্যবসা,সেবন এবং বিভিন্ন দাঙ্গার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে এই প্রতারক মোয়াজ্জেম।
এলাকায় নিজেকে অন্দকার জগতের বাদশা পরিচয় দিয়ে যাওয়ারও কথা শুনা যাচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানাযায়,১৪ মার্চ রাত ৯টায়
স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম এবং তার পরিবারকে মারপিট ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায় মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার বাহিনীর লোকজন।
পরে এই ঘটনায় মেম্বার তাজুল ইসলাম ৫ জনকে আসামী করে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-(১৫)২০২৩ইং।
মামলা দায়েরের পর থেকে প্রাননাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভাবে ঘায়েল করার লক্ষ্য নিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার বাহিনী বিভিন্ন অপ্রচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই জানান,মোয়াজ্জেম(২৫)এতো অল্প বয়সে আওয়ামীলিগের নেতা পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে হুমকি ধামকি এবং প্রতিনিয়ত হয়রানি করে দলকে কলংকিত করে যাচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্হা নেওয়া না হলে সামনে দলের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে এবং বিপদে পরতে হবে।এছাড়াও দলবল নিয়ে মারপিট দাঙ্গা হাঙ্গামার দায়ে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে বলেন তারা।
ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম এর মামলার এজাহার সূত্রে ও তার বক্তব্য তিনি বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন আমার ভাই হয়।
আর এদিকে আমি জনগণের রায়ে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি। জনগণের দায়িত্ব পালন করাটাকে আমি মনে করি আমার সঠিক কাজ।
কিন্তু আমার কাছ থেকে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় তার একটি বাহিনী মিলে দীর্ঘদিন ধরে আমার ও আমার পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। কারন আমি তাদের অন্যায় ও অত্যাচার এবং অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি এটাই আমার দুষ।
এলাকায় মাদক,জুয়া,চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মের সাথে জড়িত এই মোয়াজ্জেম ও তার বাহিনী। এমনকি এলাকার লুকোমুখে শুনাযায়,সে নাকি অন্দকার জগতের বাদশা হয়ে গেছে।
এবং ভবিষ্যতে তার দখলে থাকবে তার ইউনিয়নের জনগন।
তার ও তার বাহিনীর এহেন কার্যক্রমে জনগন অতিষ্ঠ হয়ে আমার কাছে(জনপ্রতিনিধি) হওয়ায় তাদের বিষয়ে প্রায়ই বিচার দেন।আর আমি এসব বিষয় তাদেরকে জিজ্ঞাসা এবং এসবের প্রতিবাদ করতে গিয়েই তাদের হাতে আমিসহ পরিবারের লোকজনকে হামলার শিকার হতে হয়েছে।
এমনকি তারা হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
এব্যাপারে ১৫নং ইউনিয়ন আওয়ামীলিগ’র সভাপতি এমদাদুল হক মাষ্টার বলেন,স্কুল জীবন থেকেই সে একটা বেয়াদব।শিক্ষকদের সাথে বেয়াদবি করতো এই ছেলে।এতো অল্প বয়সের একটা ছেলেকে কিভাবে মূল সংগঠনের মধ্যে ২নং সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমি নিজেও জানিনা এটা।
এমনকি এই বেয়াদব ছেলেটা এই পদের যোগ্য নয় বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও এই ছেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ ও দাঙ্গা হাঙ্গামার সাথে জড়িত এবং তার বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমাও রয়েছে বলেও মিডিয়া কর্মীদের জানান তিনি।
এই ছেলের কারনে দলের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেও দুঃখ প্রকাশ করেন। এব্যাপারে ওদের সম্পর্কে তাদের ১৫নং পৈলারকান্দি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃনাসির চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে,তার কোন সাড়া না পাওয়ায় মোয়াজ্জেম হোসেনসহ তার বাহিনীর লোকজন কেমন চরিত্রের এটা জানা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে মামলার আইও এসআই শুভ্র দেব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি অভিযোগের সত্যতা শিকার করে বলেন,বিষয়টি তিনি তদন্ত করে যাচ্ছেন আপাতত তদন্তের স্বার্থে
তিনি কিছু বলতে চাচ্ছেননা।
তদন্তের পর কিছু বলবেন বলেও আলাপকালে জানান তিনি।