আকিকুর রহমান রুমন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে তফসিল ঘোষনার সাথে সাথেই জমে উঠেছে ইউপি নির্বাচন।হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ইউপি নির্বাচন অনুষ্টিত হবে চতুর্থ ধাপে আগামী ২৩ ডিসেম্বর। গত ১০ নভেম্বর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে ঘোষনা অনুযায়ী জানা যায়,বানিয়াচং উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টিতে আগামী ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। এবং ৪নং দক্ষিন-পশ্চিম ইউনিয়নের নির্বাচন পরবর্তী ধাপে অনুষ্টিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি মাসের ২৫ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। বাছাই ২৯ নভেম্বর। আপিল দায়ের ৩০ নভেম্বর।আপিল নিস্পত্তির তারিখ ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর।প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর।প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হবে ৭ডিসেম্বর। এদিকে গত ২৪ অক্টোবর বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভার পরপরই বিভিন্ন ইউনিয়নে বর্ধিত সভা ডেকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে শুরু হয় প্রার্থী তালিকার কাজ। উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয়ভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জন্য ফরম বিতরন শুরু করেন এবং ফরম বিতরন শেষ হয় ১২ নভেম্বর। ইতিমধ্যে ১৪টি ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ৮৬ জন নেতাকর্মী ফরম সংগ্রহ করেছেন।
সর্বাধিক দলীয় প্রার্থী রয়েছেন ৫ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়ন ও ৬ নম্বর কাগাপাশা ইউনিয়নে। এই দুটি ইউনিয়নে ১০জন করে প্রর্থী রয়েছেন। ১৩ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত বাছাই করে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নিকট প্রার্থী তালিকা প্রেরণ করেছেন। ১৪ নভেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠানোর কথা রয়েছে। এসব তালিকাতে যেমন আছেন পোড় খাওয়া আওয়ামীলীগ নেতা তেমনি আছেন বিভিন্ন দল থেকে আসা নব্য আওয়ামীলীগার। তালিকায় আছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক। তালিকাতে আছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আছেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী। যারা বিগত ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহ করে নির্বাচন করেছেন এমন অনেকেই এবার দলীয় মনোনয়ন ক্রয় করেন নাই।
এছাড়া আওয়ামীলীগ করেন এমন অনেক প্রার্থী দলীয় ফরম কেনা থেকে বিরত রয়েছেন।তবে তারা নির্বাচন করবেন এটাও নিশ্চিত করে অনেকেই জানিয়েছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়নে নৌকা মার্কা নিয়ে ১০ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারন সম্পাদক তজিম্মুল হক চৌধুরী রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থীর দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার ব্যাপারে বলেন,সারা বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। তেমনি স্থানীয়ভাবে সংসদ সদস্য এডঃ আব্দুল মজিদ খানের নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ার দেখে ভোটারদের মাঝে নৌকা মার্কা নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।এই বিষয়টিকে প্রার্থীরাও নিজের জয়-লাভের হাতিয়ার করতে চাইছেন বলে তিনি এসব কথা বলেন।