হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ ও নারীসহ অন্তত অর্ধশত আহত 

0
142

ইউ’পি চেয়ারম্যানের গুলি ছোড়ার ছবি ভাইরাল

বিশেষ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সর্দার নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া হেলমেট মাথায় দিয়ে নিজের লাইসেন্সকৃত বন্দুক দিয়ে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তার এই গুলি ছোড়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন ।বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সৈদরটুলা মহল্লায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এবিষয় বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান জানান, উপজেলা সদরের সৈদরটুলা ছান্দের সর্দার নিয়োগ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া এবং জামাত নেতা ইকবাল বাহার খান ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনায় ধন মিয়াকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া  এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্হায়ী সূত্রে জানা যায়,গুরুতর আহত অবস্থায় টেঁটাবিদ্ধ ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এক বছর আগে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে ওই গ্রামের আমিরুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের ফয়েজ মিয়ার বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার দুপুরে আমিরুলের ভাতিজা তৌহিদ ইসলাম জমিতে কাজ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা তাকে মারধর করলে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গুরুত্বর আহতরা হলেন- জাহাঙ্গীর মিয়া, আম্বিয়া খাতুন, জহিরুল, সিহাব মিয়া, ওয়াহেদ মিয়া, তরিকুল ইসলাম, জুয়েল মিয়া, আফিয়া খাতুন, মাহমুদ মিয়া, সামায়ুন মিয়া, কুদ্দুছ মিয়া, রুয়েল মিয়া, আলামিন মিয়া, সুহেল মিয়া, সহিদুল ইসলাম, জালাল মিয়া, মোবারক মিয়া, তবারক মিয়া, কামরুল মিয়া। তাদেরকে সিলেট ও হবিগঞ্জ সদও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here