হবিগঞ্জের বাহুবলে চুরি হওয়া দু’টি ট্রাক উদ্ধার।।আন্তঃজেলা গাড়ি ছিনতাই চক্রের দুই হোতাকে কারাগারে প্রেরণ।। অন্যান্য গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।।

0
341
আকিকুর রহমান রুমন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় আটক আন্তঃজেলা গাড়ি ছিনতাই চক্রের চিহ্নিত দুই হোতাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়,গতকাল রবিবার(৫ ডিসেম্বর)তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।শুক্রবার ৩ ডিসেম্বর ভোর রাতে উপজেলার সাটিয়াজুরী এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় টাটা কোম্পানির দুইটি ট্রাক উদ্ধার করে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ।পরবর্তীতে এ দুটি ট্রাক টাটা কোম্পানির বলে সনাক্ত করেন হবিগঞ্জ নিটল মটরস এর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার গাউছুল আজম।
এ ব্যাপারে লিটন মটরস এর গাউছুল আজম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।এ প্রেক্ষিতে বাহুবল মডেল থানার এসআই ফুয়াদ আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে  সাটিয়াজুরী এলাকা থেকে এনাম ও কামরুলকে গ্রেফতার করে এবং তাদের দেয়া তথ্যমতে দুটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের আব্দুল জাহিরের ছেলে এনাম মিয়া(৩৫) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামের আবির হোসেনের ছেলে কামরুল হোসেন (৩৪)কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত এনাম ও কামরুলসহ
নোয়াগাও গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত জামাল,শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার উবাহাটা গ্রামের তালব ওরপে ল্যাংরা তালেব, চুনারুঘাটের গোবরখলা গ্রামের বাবুল সহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র  দীর্ঘদিন যাবত হবিগঞ্জ জেলা সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে গাড়ি ছিনতাই,প্রতারণা ও বিভিন্ন অপকর্মসহ অপরাধ জনিত কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলো।
শুক্রবার ভোর রাতে বাহুবল মডেল থানার টহল পুলিশ এনামকে আটক করে।
পরে থানায় আনার পর এনামকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে এনাম ট্রাক চুরিসহ বিভিন্ন ধরনের চুরি এবং অন্যান্য অপরাধের ও সহযোগীদের নামসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
পরে এনামের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সাটিয়াজুরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে (ঢাকা মেট্রো-১৪-০৪৯৩) ও যশোর ট-১১-১১৪৬ দুটি ট্রাক উদ্ধার করে থানায় জব্দ করে রাখেন।ওই দুটি ট্টাক বর্তমানেও বাহুবল মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
সাটিয়াজুরীর রাঘের বাজার এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান,শায়েস্তাগঞ্জ লেঞ্জাপাড়ার বাবুল ইঞ্জিনিয়ার ট্রাকের যন্ত্রাংশ খোলার সময় গাড়ি কথিত এনাম দারোগার বলে পরিচয় দেয়।এসময় গাড়ি চোর চক্রের সদস্যরা স্থানীয় হিফজুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ ক্যাশিয়ার মুহিবুর রহমানকে দেয় এক হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও এসআই ফুয়াদ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটক এনাম ও কামরুলকে হবিগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করার জন্য সোপর্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।অনেক কিছুই তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাচ্ছেনা।
তবে এই সিন্ডিকেটের সকল সদস্যদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আশাকরি শীঘ্রই তাদেরকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here