হবিগঞ্জে রেলওয়ে টিকেট কালোবাজারির হাতে

0
356

শ্রীবাস সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ নিরাপদ ভ্রমণের একমাত্র পথ রেলওয়ে পথ। সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্রগ্রামে প্রতিদিন হাজারও যাত্রী চলাফেরা করে রেল পথে । কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত উল্লেখ যোগ্য স্টেশন সায়েস্তাগঞ্জ ও নোয়াপাড়া স্টেশনে চলে টিকেট বানিজ্য  ।

যাত্রীদের অভিযোগ পাহাড়িকা ট্রেনে নোয়াপাড়া থেকে কুমিল্লা মাত্র ২ টি সীট, চট্রগ্রাম ৫ টি সীটের বিপরীতে যাত্রী হয় কয়েক গুন, আবার জয়ন্তিকা ট্রেনে নোয়াপাড়া থেকে ঢাকা ৭টি টিকেট, পাড়াবত ১৫ টি কাউন্টার বাকি গুলো অনলাইনে সিস্টেম করা।
যাত্রীদের সুবিধার্থে সরকার এ সিস্টেম চালু করলেও প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ যাত্রীগন।

জানা যায়, টিকেট কালোবাজারি সিন্ডিকেট অনলাইনে অগ্রীম টিকেট কেটে রাখে এবং ট্রেনের নির্ধারিত তারিখে স্টেশনে এসে টিকেট বিক্রি করে প্রায় দিগুনের চেয়েও বেশি দামে। ফলে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের অধিকাংশ বিনাটিকেটে ট্রেন সংশ্লিষ্টদের সাথে আঁতাত করে স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেন ভ্রমণ করে আসছে।  সরজমিনে ঘুরে জানা যায়, নোয়াপাড়া স্টেশনে একটা সিন্ডিকেট  ডাবল দামে টিকিট বিক্রি করছে।

সাদি (২৮) নামে এক যাত্রী জানায়, নোয়াপাড়া থেকে কুমিল্লা যাব টিকেট নেই, তাই বাধ্য হয়ে ১১০/- টাকার ভাড়া ৩০০ /- টাকা দিয়ে সীট বুকিং দিলাম। গাড়িতে উঠলেই এটেন্ডেন্ট সীটের ব্যবস্থা করে দিবেন ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী (৩৮) বলেন, আমি প্র‍্যাগ্নেট, মা হব, দাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় তাই নোয়াপাড়া থেকে চট্রগ্রাম এর জন্য ৫০০/- টাকা দিয়ে সীট বুকিং দিয়েছি, যদিও ২৫৫ টাকার ভাড়া।
টিকিট না নিয়ে গাড়িতে উঠা যাত্রীদের কাছ থেকে  টি,টি,ই রেলওেয়ের নির্ধারিত টিকেট বইয়ের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয়ের কতটুকু ভুমিকা রাখছেন তা বলা মুসকিল ।

সিলেট থেকে চট্রগ্রাম গামী পাহাড়িকা ট্রেনের দায়িত্ব রত টি,টি,ই,বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি শতভাগ টিকেটের যাত্রী। করুনা পরিস্থিতির কারনে কিছুটা এলো মেলো হয়েছে। শীঘ্রই শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে।তবে বাংলাদেশ রেলওয়ের জনবল অপ্রতুল বলে উনি দাবি করেন। বলেন, আমাদের এলাকা ভাগ করা তাই সারাদেশে ইচ্ছা করলেই আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি না।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ ও নোয়াপাড়া স্টেশন মাষ্টারের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিছু অসাধু লোক এ চক্রটির সক্রিয় সদস্য।

এই বিষয়ে খবর নিয়ে জানা যায়, স্হানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি প্রভাব খাটিয়ে টিকেট কালো বাজারি করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে যাত্রী ও সচেতন নাগরিক মহলে।

কালো বাজারি ক্যাসেট কবে বন্ধ হবে জানতে চায় ডিজিটাল বাংলার ডিজিটাল নাগরিকগন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রেলওয়ে মন্ত্রীর সু-নজর কামনা করছেন রেলপথ যাতায়াতকারীসহ বিবেকবান ব্যক্তিরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here