এম এ কাদেরঃ হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের অভিযানে সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল কর্তৃক প্রতারণার ১৮ হাজার টাকা ও ০১টি মোবাইল সেট সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত টাকা উদ্ধার করিয়া ভিকটিমের নিকট সুযোগ্য পুলিশ সুপারের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনা-০১ : জনৈক কামরুন নাহার চৌধুরী (২৬), স্বামী-কাওসার মিয়া, সাং- জগৎপুর, থানা- শায়েস্তাঞ্জ, জেলা- হবিগঞ্জকে সমাজ সেবা অফিসের স্টাফ পরিচয় দিয়ে গত ০৯/০৪/২০২৩খ্রিঃ তারিখ সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় প্রতারকের মোবাইল নম্বর থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করিয়া হবিগঞ্জ মহিলা অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণের কথা বলে। তাহার ইসলামী ব্যাংকের এটিএম কার্ডের নাম্বার নিয়া কৌশলে তাহার নিকট হইতে ডেবিট কার্ডের পিন কোড নিয়ে তাহার ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট হইতে ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা প্রতারনা করিয়া নিয়া যায়। পরে উক্ত ভিকটিম শায়েস্তাগঞ্জ থানার জিডি নং-৪২১, তাং-০৯/০৪/২০২৩ দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), হবিগঞ্জ এর তত্ত্বাবধানে সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় প্রতারনার টাকা উদ্ধার করিয়া ভিকটিমকে গত ১৯ অক্টোবর ২০২৩খ্রি. সম্মানিত পুলিশ সুপারের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনা-০২ : জনৈক নাজমা আক্তার, স্বামী- আবুল খায়ের, সাং- শায়েস্তানগর আ/এ, থানা- হবিগঞ্জ সদর, জেলা-হবিগঞ্জ। গত ২৪/০৯/২০২৩খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা ০৫.১৭ ঘটিকার সময় তাহার ব্যবহৃত মোবাইল নং-০১৭৭৮-৫৪৫০৫৮ নাম্বারে ফোন করিয়া তাহার মেয়ের এর স্কুলের শিক্ষকের পরিচয় দিয়ে তার কলেজের নাম, রোল নাম্বারসহ ও তার বাবার নাম উল্লেখ করে হবিগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজের উপবৃত্তির টাকা দেয়ার কথা বলে। পরে তাদের দেয়া ০৩ টি নাম্বার এবং ০২ টি বিকাশ এজেন্ট ব্যবহার করে প্রতারকরা সর্বমোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মহোদয় বরাবর অভিযোগ দায়ের করিলে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), হবিগঞ্জ এর তত্ত্বাবধানে সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় প্রতারনার ৯২,০০০/-(বিরানব্বই হাজার) টাকা উদ্ধার করিয়া ভিকটিমকে গত ১৯ অক্টোবর ২০২৩খ্রি. পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনা-০৩ : জনৈক মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী(২৬), পিতা- মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী, মাতাঃ মোছাঃ আজিজুন্নেছা চৌধুরী, সাং-ইনাতবাদ, ০৬ নং ওয়ার্ড, থানা- হবিগঞ্জ সদর, জেলা- হবিগঞ্জ। গত ১৭/০৮/ ২০২৩খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা ০৬:১৬ ঘটিকার সময় অত্র থানাধীন পৌরসভাস্থ ইনাতবাদ সাকিনে ভিকটিম ABC টেলিকম অফিসে থাকা অবস্থায় তাহার নিজ নামীয়“ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড” এর একাউন্ট নং হতে বিকাশে তার ভাইয়ের নিকট টাকা পাঠাতে গেলে ভুলবশত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিকাশ মোবাইল ফোনে মোট ১০,০০০/-(দশ হাজার) টাকা চলিয়া যায়। পরবর্তীতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত টাকা উদ্ধার করিয়া ভিকটিমের নিকট গত ১৯ অক্টোবর ২০২৩খ্রি. সুযোগ্য পুলিশ সুপারের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনা-০৪ : জনৈক মোঃ মহিউদ্দিন বিল্লাল(৬৫), পিতা- মৃত শেখ মৌঃ কুদ্রত উল্লা, মাতাঃ শেখ সাহারা বানু বেগম, সাং-মাহমুদাবাদ, থানা- হবিগঞ্জ সদর, জেলা- হবিগঞ্জ এর ইমু নাম্বার হ্যাক করিয়া তাহার প্রবাসী(দুবাই) মেয়ের পরিচয় দিয়া প্রতারকরা বলে যে তাহাকে দুবাই পুলিশ গ্রেফতার করিয়াছে। তাকে ছাড়ানোর জন্য ৮০,০০০/-(আঁশি হাজার) টাকা বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে প্রতারনা করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ সদর থানায় জিডি নং-১২৬৮, তাং- ১৯/০৮/২০২৩খ্রিঃ দায়ের করে। পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রমে সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় প্রতারনার ৬৫,০০০/- (পয়ষট্টি হাজার) টাকা উদ্ধার করিলে গত ১৯ অক্টোবর ২০২৩খ্রি. সুযোগ্য পুলিশ সুপারের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনা-০৫ : জনৈক ফারজানা ইয়াসমিন (৪২), পিতা-আব্দুল ওয়াহাব, মাতা-রাবেয়া খাতুন, সাং-উত্তর রাজনগর, থানা-হবিগঞ্জ সদর, জেলা-হবিগঞ্জ। গত ২৮/০২৭/২০২৩খ্রিঃ তারিখ রাত্রি আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকার সময় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন রাজনগর এলাকায় তাহার নিকট হইতে ব্যবহৃত একটি Redmi s2 মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় জিডি নং-২০৬১, তাং- ২৯/০৭/২০২৩খ্রিঃ দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার, হবিগঞ্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করিলে পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), হবিগঞ্জ এর তত্ত্বাবধানে সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় তাহার হারানো মোবাইল উদ্ধার করিয়া গত ১৯ অক্টোবর ২০২৩খ্রি. পুলিশ সুপারের মাধ্যমে ভিকটিমের নিকট হস্তান্তর করা হয়।