নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সম্প্রীতির বান্দরবানে নিরাপত্তা ও উন্নয়নে সেনাবাহিনী কাজ করছে। সাংবাদিকদের লিখনির মাধ্যমে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে, বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিহার করতে হবে। অপারেশন উত্তোরণের আওতায় নিরাপত্তা ও জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন, সনাতনী পদ্ধতি পরিহার করে জুম চাষে আধুনিকতার বিকাশ ঘটাতে হবে। অপারেশন উত্তোরণের সফলতা প্রত্যাশা করে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তাদের বুদ্ধিদীপ্ত লেখায় সমাজের সুন্দর দিক নির্দেশ করবে। সবাইকে দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানান তিঁনি।
বান্দরবান রিজিয়নের আয়োজনে ৮ আগষ্ট২০২২ইংপাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়া উল হক বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় জনগোষ্ঠীকে সার্বিক উন্নয়নের আওতায় আনার কাজ চলছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার, বান্দরবান পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর প্রিন্সিপাল, আলীকদম, রুমা, বান্দরবান বলিপাড়া জোনের জুন কমান্ডারদ্বয়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বান্দরবান প্রেসক্লাব সভাপতি। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- রোয়াংছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি, আলীকদম প্রেসক্লাব সভাপতির পক্ষে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, লামা প্রেসক্লাব সভাপতি, রুমা প্রেসক্লাব সভাপতি, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি ও থানচি প্রেসক্লাব সভাপতি।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, উন্নয়নসহ জীবন ঘনিষ্ট কাজ সম্পাদনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনন্য অবদান রয়েছে।
লামার নেতৃবৃন্দ উপজেলার লুলাইন ও বনপুরে স্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। আলীকদম ম্যারাইনতং পর্যটন এলাকায় সেনা টহল দাবি করা হয়। নাইক্ষ্যংছড়ির দূরবীন নামক স্থানে একটি পর্যটন স্পট করার দাবি, প্রেসক্লাবগুলোর উন্নয়নে সেনা বাহিনীর ঐতিহ্যগত সহায়তা অব্যাহত, পেশাগত উৎকর্ষ বিকাশে সহায়ক হওয়া, আন্দার মানিকে পর্যটন করার দাবি জানানো হয়।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে লামা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ভৌগলিক গুরুত্ব বিবেচনায় জেলা সদরের পরে লামা উপজেলা।
লামা সদরের নিরাপত্তার জন্য টিডি এন্ড ডিসিতে সেনা ক্যাম্প পূন:প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানান। তিনি সেনা মৈত্রী কার্যক্রমের “ফলক” স্মৃতিস্বাক্ষর রক্ষায় কাজ করার আহবান জানান।