আল মামুন খান,সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃ আছমা আক্তারের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি ও নানা অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। একই সাথে শাহজাদাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য আজহার মিয়ার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করা হয়।
নাছিরনগর উপজেলার কোয়ারপুর গ্রামের মৃত অমৃত লাল সরকার এর পুত্র এডভোকেট রাখেশ চন্দ্র সরকার সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ৮ই অক্টোবর ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বরাবর ১২ অক্টোবর এ বপারে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, এডভোকেট রাখেশ চন্দ্র সরকার সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামের মৃত পান্ডব ভৌমিকের মৃত পুত্র হরলাল ভৌমিকের কনিষ্ঠ কন্যা শিউলি রানী ভৌমিকের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। শিউলি রানী ভৌমিকের বড় ভাই স্বপন পাল ভৌমিক প্রবাসে থাকার সুবাধে পাওয়ার অব এটর্নিমূলে তাহার বিষয় সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্ব দেন এডভোকেট রাখেশ চন্দ্র সরকারকে। সেই থেকে তিনি তার বিধবা শাশুড়ী পারুল রানী ভৌমিক ও তাহার পুত্র স্বপন লাল ভৌমিক এর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি দেখাশুনা করে আসছেন।
এমতাবস্থায় পার্শ্ববর্তী ধাউরিয়া গ্রামের মৃত লাল মোহন সরকার এর পুত্র রসরাজ চন্দ্র সরকার এর যোগসাজসে শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃ আছমা আক্তার ও একই গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজহার মিয়া অনৈতিকভাবে লাভবান হইয়া মৃত পান্ডব সরকারের প্রকৃত ওয়ারিশগণের নাম গোপন করে শুধুমাত্র ৪ জন মহিলাকে ওয়ারিশ দেখাইয়া জালজালিয়াতিমূলক ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন। যাহার স্মারক নং শাহজাদা/ ইউপি/সরাইল/২০২২/১৫। জাল ও মিথ্যা এ ওয়ারিশ সনদ ব্যবহার করে রসরাজ সরকার তার শাশুড়ী রাসমনি ভৌমিকের নামে ২৮ ৯৬ খারিজ খতিয়ান মূলে স্বপন পাল ভৌমিকের ৯ বিঘা জমি বেআইনিভাবে ভূল তথ্য দিয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসের মাধ্যমে খারিজমূলে নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিকট অবৈধভাবে হস্থান্তর করে দেয়। ভূল স্বীকার করে পরবর্তীতে ১১ জনকে ওয়ারিশ হিসেবে গণ্য করে ওয়ারিশ সনদ প্রদান করলেও
চেয়ারম্যান মোঃ আছমা আক্তার ও মেম্বার আজহার মিয়ার ভূল ও জাল ওয়ারিশ সনদের জন্য ৬০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলেও অভিযোগে প্রকাশ।
এছাড়া চেয়ারম্যান মোছাঃ আছমা আক্তারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় চৌকিদারকে দিয়ে পারিবারিক কাজ করানোর পাশাপাশি এলাকার জনগণের জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানে আর্থিক অনিয়ম ও চলচাতুরী করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কয়েকজন মেম্বার।
এ ব্যপারে শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃ আছমা আক্তার বলেন, বিগত দুই বছর ধরে আমি সততার সহিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। স্থানীয় মেম্বারের স্বাক্ষর দেখে যাচাই বাছাই করেই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে চেয়ারম্যান হিসেবে জনস্বার্থে ওয়ারিশ সনদ দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন বলেন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।