বাগমারা জোকা বিল নিয়ে উত্তেজনা ! আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় সংঘর্ষের আশঙ্কা বিরাজমান !! 

0
130

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজশাহী বাগমার’য় জোকা বিল নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা জছিয়ে পড়েছে জমির মালিকদের মধ্যে। জোকা বিলে মাছ চাষ নিয়ে দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে।

এদের মধ্যে একটি পক্ষ জোকা বিলের সকল জমিতে বিনামূল্যে ধানের আবাদ করে দেয়া সহ বিলের চারপাশের গ্রামের মানুষদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
এজন্য জোকা বিলের ধান চাষ এবং পানি পান করার জন্য ব্যবহার হচ্ছে ১২ টি নলকূপ ও ৭টি শ্যালো মেশিন।
সম্মিলিত ভাবে সেই সকল গভীর নলকূপ, শ্যালো মেশিন এবং সাপলাই পানির সকল ব্যয়ভার বহণ করে এসেছে জমির মালিকরা।
দীর্ঘ দিন ধরে লীজের মাধ্যমে জোকা বিলে মাছ চাষ করে আসছিলো জমির মালিকরা।
মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই নতুন করে লীজ না হওয়ায় গভীর নলকূপ, শ্যালো মেশিন ও সাপলাই পানির যাবতীয় খরচ বহণ করে এসেছেন এই সকল জমির মালিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে গত ২০২২ ডিসেম্বর মাসের আগে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
মেয়াদ শেষ হওয়ায় জমির মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্থানীয় ভাবে ৫ গ্রামের লোকজন মিলে
যৌথ ভাবে টাকা উত্তোলন করে বিনামূল্যে ধান চাষ সহ পানি সরবরাহ করে। সেই সাথে নতুন করে ৭ হাজার টাকা করে জমির মালিকদের লীজ মূল প্রদান করে বাসুদেবপাড়া,হাট- মাধনগর,কাষ্টনাংলা,গোড়সার,এবং পানিয়া গ্রামের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরম্ভ করেছে।
এরই মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান আহসান হাবিব এর নেতৃত্বে নতুন ভাবে মাছের পোনা অবমুক্ত করে জোকা বিলে যৌথ ভাবে মাছ চাষ শুরু করে তারা।
জমির মালিকদের লীজ মূল্য পরিশোধ করে মাছচাষ চলাকালীন সময়ে অন্য একটি পক্ষ হাট-গাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বসে সেই বিল লীজের জন্য।
তবে সেখানে জমির মালিকরা তেমন উপস্থিত না থাকলেও ৬ হাজার টাকা উল্লেখ করে জোকা বিলে জোরপূর্বক মাছ চাষ করা চেষ্টা শুরু করে। বিলে দখল নিতে এরই মধ্যে গত ২৯ এপ্রিল
আফসার আলীর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত গুন্ডা বাহিনী ধারালো অস্ত্র নিয়ে এচাহাক আলী,সিহাব,সাহার আলী সহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাড়ির আসবাবপত্র, ফ্রিজ,মোটরসাইকেল সহ অনেক কিছু ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে বিলের পাশের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন তাদের বাড়িতে দেখতে যায়।ওই সময় হামলাকারীরা পুলিশকে খবর দেয়, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা চালানো বাড়ি দেখতে আসা লোকজনের ৭টি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।
এরপর হামলাকারীর মধ্যে মুত্তাছিন বিল্লা মুক্তা বাদী হয়ে অপর পক্ষে ১২ জনার নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে।
দায়েরকৃত ওই মামলায় সবাইকে জামিন প্রদান করে মহামান্য আদালত।
মিথ্যা ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে জামিনে বের হয়ে ওই পক্ষে মূলহোতা আফসার আলী সহ ২০ জনেন নাম উল্লখ পূর্ভক ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন কাষ্টনাংলা গ্রামের এচাহাক আলী।
মামলা হলেও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে উভয় পক্ষের মধ্যে। এ ঘটনায় যেকোন সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে। সেই সাথে মামলা দায়েরর পর থেকে জোরপূর্বক জমির মালিকদের অস্ত্রের মূখে তুলি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ফাঁকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প,ডেমি এবং রেজিষ্ট্রারে স্বাক্ষর করে নিচ্ছেন।স্বাক্ষর না করলে হত্যার হুমকী প্রদান করছেন তারা।

জীবন বাঁচাতে স্বাক্ষর করলেও পরে থানায় এসে অভিযোগ করছে হাসান আলী,কামাল হোসেন,আনছার আলী সহ ভুক্তভোগী জমির মালিকরা।

এ ব্যাপারে জমির মালিক সাবেক চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন,জমির মালিকরা যৌথ ভাবে নতুন ভাবে ধান চাষের পরে মাছ চাষ শুরু করেছে।সে জন্য জমির মালিককে লীজ মূল্য প্রদান করেছে। উক্ত বিলে জোরপূর্বক মাছ চাষের চেষ্টা করছে অন্যপক্ষ। সেই সাথে কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে, এছাড়াও লোকজনকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে গিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্প সহ বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর করে নিচ্ছে এটা মেনে নেওয়া যায় না।

অন্যদিকে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনারুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পেয়েছি এবং
দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here